
শুরুর দিকে অফ ফর্মে থাকলেও এবারের মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে ঠিক ৪৪ গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। এর মধ্যে লিগে ২৭ ম্যাচে করেছেন ২৬ গোল। কিন্তু তারপরও তাকে রেখে নেইমারকে নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিকে বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবে সাড়া নেই রিয়ালের। এসব ক্ষোভের কারণেই হয়তো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন রোনালদো।স্প্যানিশ ও ইতালিয়ান গণমাধ্যমের খবর, রোনালদোর জুভেন্টাসে যাওয়ার বিষয়ে এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটা্ই বাকি।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম এটাও বলছে, আক্ষেপ নিয়ে রোনালদো শুধু নিজেই যাচ্ছেন না, রিয়াল থেকে আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কেও সাথে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করছেন।রিয়াল মাদ্রিদে মাঠে মার্সেলোর কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা পান রোনালদো। পর্তুগাল অধিনায়ক যে পার্শ্বে খেলেন মার্সেলোও খেলেন সেই পার্শ্বে।
ফলে রোনালদোর আক্রমণের সূচনা হয় মার্সেলোর কাছ থেকেই। মাঠের বাইরে দুজনের বন্ধুত্বও দারুণ। নিজের সাথে নাকি বন্ধুকেও রিয়াল থেকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন রোনালদো। স্প্যানিশ গণমাধ্যম ডন ব্যালনের দাবি, মার্সেলোকে জুভেন্টাসে দেখতে চান সিআর সেভেন।কিন্তু জুভেন্টাস রোনালদোর এই দাবি মেটাতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।
শোনা যাচ্ছে, রোনালদো চলে গেলে তার শূন্যতা পূরণ করতে নেইমারকে নিয়ে আসবে রিয়াল মাদ্রিদ। নেইমার ও রোনালদোর পজিশন একই। অর্থাৎ নেইমারেরও দরকার পড়বে মার্সেলোকে। ‘দেশী ছোট ভা্ই’কে ফেলে মার্সেলো যেতে চাইবেন বলে মনে হয় না। তাছাড়া নেইমারের রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার বিষয়ে শুরু থেকেই সোচ্চার মার্সেলো।
