ফুটবল নিয়ে ভক্তদের মনে বয়ে যায় কতোই না স্বপ্ন , কখনও লিখে রোনালদো, মেসি আবার কখনো লিখে পোষ্টার বয় নেইমারকে নিয়ে । তেমনি বাংলাদেশের  Brazil Is The Beauty of Football (ব্রাজিল মানেই ফুটবলের সৌন্দর্য)  নামক এক গ্রুপে  Razu Ahamed Raj নেইমারকে নিয়ে যা লিখেন  তা তুলে ধরা হলো 

২০১০ বিশ্বকাপ এ ব্রাজিল একটা আনকোরা দল নিয়ে এসেছিল যে দলের মুল ভরসা ছিল এটাকিং মিডফিল্ডার কাকা।রবিনহোর ফরম ও তেমন ভাল ছিল না।আর তেমন নাম বলার মত কেউ ছিল না দল টাতে।সেবার কোয়ার্টার থেকেই বিদায় নেয় ব্রাজিল।তারপর আবারো যেন ব্রাজিল ফুটবলে কালো মেঘের ঘনঘটা।কাকার পায়ে অস্ত্রপাচার এর ফলে ৮ মাস মাঠের বাইরে ততদিনে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন কাকা।

তখনি ব্রাজিল ফুটবলের হাল ধরে একজন অভিনেতা।তার খেলা দিয়ে জয় করে ব্রাজিলীয়ান দের।যার স্কিল ড্রিবলিং দেখার মত।গোল করতে যেমন পটু ঠিক গোল করাতেও পটু।২০১১ এ তো সুন্দর গোলের জন্যে পুস্কাস পুরুষ্কার জিতেন। তাকে ঘিরেই তৈরি হয় ব্রাজিল ফুটবলের পরিকল্পনা।২০১৪ বিশ্বকাপ ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ এ ব্রাজিল এর আশার আলো এই অভিনেতা।

ভাবতেও অবাক লাগে ব্রাজিল দল টা কত টা অসহায় ছিল যে দলে সুযোগ পায়ছিল ফ্রেড,জো,হাল্ক এর মত প্লেয়ার রা।ব্রাজিলের দূরদিনেও এ মানুষটি একটি বারের জন্যেও খেই হারান নি।দল কে নিয়ে যায় সেমিতে।কিন্তু প্রতিপক্ষের আঘাতে জর্জরিত হয়ে বিশ্বকাপ টা ওখানেই শেষ হয়ে যায়। বাকী দুই ম্যাচ তো ব্রাজিলীয়ান দের জন্য লজ্জার।২০১১ এর পর থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ব্রাজিলের একমাত্র আশার ছিল এই অভিনেতা।পরে কৌতিনহো, জেসুসরা আসে ব্রাজিলের ভাল সময়ে।

২০১৮ বিশ্বকাপ এ যেটা ঘটল হ্যা সেটা অভিনয়, তাকে ২৫+ বার ফাউল করা হইল হ্যা সেটা অভিনয়।তার পায়ের ইঞ্জুরির জায়গায় বুটের স্পাইক দিয়ে পারা দেওয়া হল হ্যা সেটাও অভিনয়।হ্যা ভাই আমরা ব্রাজিল ভক্তরা এই অভিনেতাকেই ভালবাসি।যে এসেছিল ব্রাজিলের দুর্দিনে।

আর টপ টেন লিস্টে না থাকাতে আমরা মোটেও হতাশ নই কেননা ১/৩ মৌসুম না খেললেও টপ টেন লিস্টের ৩-৪ জন অপেক্ষা তার পারফরমেন্স অনেক ভাল।গোল ও এসিস্ট দিয়ে এগিয়ে।আশা করি এবার পিএসজি এর অধরা ট্রফিটা তোমার হাত ধরেই আসবে