গেল মাসে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বারের মত বৈশ্বিক কোন আসরের সেমিফাইনালে উঠেছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

তবে কিউইদের সেই ম্যাচে হারালেও প্রথম ভাগে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন কিউইদের পক্ষেই ছিল। কিউইরা যখন ব্যাট করছিলেন এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো খুব সহজেই তিনশো পার করে ফেলবেন তারা।কিন্তু টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি হুট করে তরুণ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে বোলিংয়ে নিয়ে এসে ম্যাচের মোড় পাল্টে দেন।

মোসাদ্দেক মাত্র দুই ওভার বোলিং করে তুলে নেন তিন উইকেট।নিশাম, কোরি অ্যান্ডারসন এবং নিল ব্রুমকে সাজঘরে ফিরিয়ে টাইগারদের ম্যাচে ফেরান তরুণ মোসাদ্দেক। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অধিনায়ক মাশরাফির সাহসী সিদ্ধান্তের কারণেই সেদিন কিউইদের মাত্র ২৬৭ রানে আটকিয়ে দেয় বাংলাদেশ।

এরপর সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শতকের উপর ভর করে পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে লাল-সবুজের বাংলাদেশ দল।এদিকে মাশরাফি ক্রিক ইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, কোচের সঙ্গে আলাপ করেই তিনি মোসাদ্দেককে বোলিংয়ে এনেছিলেন।

কারণ আগেও জিমি নিশাম এবং কোরি অ্যান্ডারসনকে মোসাদ্দেক বিপদে ফেলেছিল। মাশরাফি জানান,‘আমি পানি বিরতির সময় জুতার স্পাইক বদলাতে গিয়েছিলাম। তখন আমি কোচের সঙ্গে আলাপ করি। কোন স্পিনারকে দিয়ে দুই বা তিন ওভার করানো যায় নাকি?রস টেইলরকে যখন তাসকিন সাজঘরে ফেরালো এর পরই সময় বুঝে আমি মোসাদ্দেককে বোলিংয়ে নিয়ে আসি।

কারণ এর আগেও নিশাম এবং কোরিকে মোসাদ্দেক বিপদে ফেলেছিল।’পাশাপাশি মাশরাফি আরও বলেন, তিনি যখন কোচের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করছিলেন অনেকেই বলেছিল আমার সিদ্ধান্তটি ভুল পথে হতে পারে। কিন্তু আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল বলে আমি মোসাদ্দেককে দিয়ে ওভার করাতে সাহস পেয়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন,‘অনেকেই বলেছিল সিদ্ধান্তটা সঠিক নয়, কিন্তু আমার নিজের সিদ্ধান্ত প্রতি আস্থা ছিল বলেই আমি মোসাদ্দেককে দিয়ে ওভার করানোর সাহস পাই। আগের ওভারে সে মাত্র পাঁচ রান দিয়েছিল। তাই আমি মনে করেছিলাম ওকে দিয়ে দুই তিন ওভার আরও করানো সম্ভব