
আবারো সমালোচনায় জাতীয় দলের বাহিরে থাকা ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন। গতকাল জনৈক এক সিএনজি চালককে পিটিয়ে সমালচনায় আসেন তিনি।

তবে সিএনজি চালককে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বেপরোয়া সিএনজিটি তার গাড়িয়ে ধাক্কা দেয়ার পরই ঘটে এ ঘটনা।
এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় শাহাদাত নাকি সিএনজি চালকের শার্টের কলার চেপে ধরেন এবং তাকে থাপ্পড়ও নাকি মারেন। তাছাড়া তিনি নাকি সিএনজি চালক লিটনকে বলেন,‘আমি তোকে মেরেছি, এবার তুই আমাকে মার! তবুও ক্ষতি পূরণ দে।’ কিন্তু এমন অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন এই ক্রিকেটার।

এক সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘ ১৮ বা ১৯ বছরের একজন সিএনজি চালক অন্য একটি সিএনজির সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় আমার গাড়িতে জোরে ধাক্কা দেয়। এরপর আমি সিএনজি চালকের হাত ধরে এনে গাড়ি দেখালাম এবং গাড়ি ঠিক করে দেওয়ার জন্য বললাম। এখানে কোনো থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি বরং সিএনজি চালক আমি হাত ধরলে সে আমাকে ধাক্কা মারে এবং নানা রকমের বাজে কথা বলে। আমি শুধু চেয়েছি সে যেন আমার গাড়ি ঠিক করে দেয় এর বেশি কিছুই হয়নি। ঘটনাটিকে সম্পূর্ণ ভুল ভাবে উপস্থাপন করেছে।’

সিএনজি চালক লিটনকে বলা,‘আমি তোকে মেরেছি, এবার তুই আমাকে মার! তবুও ক্ষতি পূরণ দে।’ এমন কথার ভিত্তিতে শাহাদাত বলেন, ‘মারার মত কোনো ঘটনাই তো সেখানে হয়নি। তাহলে কেন আমি বলবো যে আমি তাকে মেরেছি! ছাত্র-ছাত্রী সহ অনেক মানুষ ঘটনাস্থলে ছিল, তারা সবাই পুরো ঘটনাটি দেখেছে। আমি গাড়ি ঠিক করতে দিতে বলায় সিএনজি চালক আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে।’

এর আগেও নিজ বাসার কাজের মেয়েকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে শাহাদাত হোসেনের নামে। যার জন্য শাস্তিও পেতে হয়েছিল ৩২বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। খাটতে হয়েছিল জেলও।
