
২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বিপিএলের চতুর্থ আসরে কুমিল্লার হয়ে খেলেছিলেন পেসার শাহাদাৎ হোসেন রাজীব। আর সেই কুমিল্লার বিরুদ্দে অভিযোগ তুললেন শাহাদাত। বিপিএলে চতুর্থ আসর খেলার জন্য তাকে কোন টাকাই দেয়নি কুমিল্লা।
পেসার শাহাদাৎ হোসেন রাজীব বলেন, শেষের দিকে মাশরাফি ভাই আমাকে দলে নিয়েছিল। শুরুতে আমাকে নিয়ে সমস্যা হলেও মাশরাফি ভাই বলেছিল, রাজীব তুই খেলতে থাক, ভালো খেললে আমরা দেখব।
তারপর একটি ম্যাচে খেললাম। ভালো বোলিং করলাম, ম্যাচেও জিতলাম। ভাবলাম হয়তো কিছু টাকা পাব।
এ নিয়ে শাহাদাৎ হোসেন রাজীব বলেন, “যদি প্লেয়ার ড্রাফটের বাইরে থেকে প্লেয়ার নেয়, তাহলে নিয়মানুযায়ী অর্ধেক টাকা দিতে হয়। আমি ‘বি’ গ্রেডের ছিলাম। এরপর একদিন মাশরাফি ভাইয়ের সাথে জিমে দেখা হলো। উনি জানতে চাইলেন কীরে তোর টাকা দেয়নি? আমি বললাম-না। উনি আমার জন্য তখনই নাফিসা আপাকে (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চ্যায়ারম্যান) ফোন দিয়েছেন।
তখন তিনি জানালেন যে টাকা দিয়ে দেবে। তারপর আমিও ওনাদের সাথে যোগাযোগ করলাম। যদিও উনারা আমাকে বলেছিল এবছর টাকা দেবে। কিন্তু আজও দেয়নি। আমি ‘বি’ গ্রেডে ছিলাম। এই গ্রেডে ১৬ লাখ টাকা ছিল। আমি ড্রাফটের বাইরে ছিলাম। ড্রাফটের বাইরে যারা থাকে তাদের সাধারণত অর্ধেক টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তাও করেনি। আমি এক টাকাও পাইনি। ”
এ ব্যাপারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মিডিয়া ম্যানেজার সোহানুজ্জামান খান নয়ন বলেন, “আমাদের দলের সবার পেমেন্টই ক্লিয়ার। রাজীব মৌসুমের মাঝামাঝিতে দলে যোগ দিয়েছিল, সেজন্য ওরকম করেই ওর সাথে এগ্রিমেন্ট করা ছিল। তবে ওর টাকা দেইনি এরকম কোনো কিছু হয়নি। আমাদের কিন্তু বিপিএল গভর্নিং বডির কাছে সব স্টেটমেন্ট দিতে হয়। তাই এমন কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। ”
এদিকে নয়নের এমন বক্তব্যে অবাক শাহাদাৎ। তিনি বলেন, আমাকে টাকা দিয়েছে? কোথায় দিয়েছে? কার কাছে দিয়েছে? আমি তো একটি টাকাও পাইনি। ওনারা খেলার আগে আমার সই নিয়েছে।
আমি জানতে চেয়েছি কিসের সই? বলেছিল চুক্তির জন্য সই। সেই চুক্তির টাকা আজও দেয়নি। আমি কী মিথ্যে কথা বলবো আপনাদের কাছে? একটি টাকাও দেয়নি তারা। ”
