
এই ছেলেটাও একদিন বিকেএসপির গেট থেকে বহুদূরে পিলার ঘেষে শত শত ছেলের পিছনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলো। তখন তার জন্য ওই শতক কয়েক ছেলেদের মাঝে সেরা হবার প্রতিযোগিতা ছিল। আজকে বহুদিন পর সেই ছেলেটাই বিশ্বসেরা একজন৷ খালি চোখে তিনি অটোমেটিক এতদূর চলে এসেছেন, কিন্তু মনের গভীর চোখে অনুভব করলে খোঁজে পাবেন অনেক কিছু। . হা, সবকিছু বাদ দিলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ১২ বছরের চলার পথটা একদমি মসৃণ ছিলো না৷
ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সফল একজন ক্রিকেটার হবার পরও তাকে এতোদূর আসতে কম কাটাপথ পাড়ি দিতে হয়নি৷ নানান সময়ে, নানান বিষয়ে পড়তে হয়েছে নানান ছুঁড়ির নিচে৷ তারপরও তার পথচলা থেমে যায়নি৷ একই প্লেটে ভাত খাওয়া, একই বালিশে ঘুমানো বন্ধুটাও আজ থেকে ৭বছর ধরে বলে আসতেছেঃ – এই বছরটা যেতে দে’না৷ দেখবি সাকিবের অস্তিত্বও থাকবে না৷
ওর বলার মাঝে কোনো ভুল খোঁজতে যায়না এই ভেবে যে, গত ১২ বছরে একজন সাকিব আল হাসানের মত করেই শুরু করে ক্রিকেট বিশ্বের অনেক বড় বড় অলরাউন্ডার ঝড়ে পড়েছে৷ গত ১ যুগে আমি মোহাম্মদ হাফিজ থেকে শুরু করে, স্টোকস, অ্যান্ডারসন, ফিল্যান্ডার, ম্যাক্সওয়েল, ফকনার, জাদেজা, মঈন আলীর মত অনেক অনেক অলরাউন্ডার এর আগমন দেখেছি৷ কিন্ত সাকিব আল হাসান একজনই দেখেছি যে’কিনা শুরু থেকে এখন অবদি দেশের হয়ে ওয়ান অব দ্যা টপ পারফর্মার, যে কিনা ক্রিকেটের সকল ফরমেটে সমান তালে পারফর্ম করে চলেছেন এতটা দীর্ঘ সময় ধরে।
এভাবেই পারফর্ম করে ক্যারিয়ারের ১যুগ পার করে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট পরিবর্তনের মূল নায়ক সাকিব আল হাসান। ২০০৬ সালের আজকের এই দিনে হারারেতে ছিপছিপে এক ছেলের আন্তরজার্তিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়। ক্যারিয়ারের ১২বছর অতিক্রম করে ১৩ম বছরে পা রাখলেন সেই তিনি। গেল এক যুগের গল্প জানি কোনো ভাবেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাই বলতেও চাই না সেসব। শুধু এতটুকু চাই সব কিছু উপেক্ষা করে এভাবেই দেশের জন্য খেলে যান। শুভ কামনা আপনার সামনের দিনগুলোর জন্য মিঃ বাংলাদেশ
