
৬ আগস্ট ২০০৬ বাংলাদেশে ক্রিকেটে হয়েছে নতুন এক তারার উদয়। সেই তারাটি আর কেউ নয়, সে হলো বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিব আল হাসানের। আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ বছর পূর্ণ হয়েছে সাকিবের। এই বিশেষ দিনেই অধিনায়ক হিসেবে উঁচিয়ে ধরেছেন শিরোপা, জিতে নিয়েছেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।
ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচে সাকিবের ব্যাট থেকে রান আসে যথাক্রমে ১৯, ৬০ ও ২৪ (মোট ১০৩)। বল হাতে নিয়েছেন তিন উইকেট। আর তাই সিরিজ সেরার পুরস্কারও উঠে সাকিবের হাতে। এই নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মতো সিরিজ সেরা হলেন সাকিব আল হাসান, দুইবারই হয়েছে দেশের বাইরে। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে ১-১ এ ড্র হওয়া সিরিজে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন সাকিব।
সাকিব এখন পর্যন্ত ফরম্যাট মিলিয়ে খেলেছেন ৩১০ টি ম্যাচ। যার মধ্যে আছে ৫৩ টি টেস্ট, ১৮৮ টি ওয়ানডে ও ৬৯ টি টি-টোয়েন্টি। সবমিলে ১১ বার সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন। টি-টোয়েন্টিতে দুইবার এই পুরস্কার জেতার পাশাপাশি টেস্টে চার ও ওয়ানডেতে পাঁচ বার জিতেছেন সাকিব।
মূলত ১৯৮০ সালের আগে সিরিজসেরা পুরস্কারটা ওভাবে নিয়মিত/প্রচলিত ছিলো না। ১৯৮০ সালের পরে সিরিজসেরা তকমাটার প্রচলন হয় নিয়মিত ভাবে। ১৯৮৯ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করা শচীন টেন্ডুলকার (১৯৮৯-২০১৩) সর্বোচ্চ ২০ বার সিরিজসেরা হয়েছেন। যদিও শচীন খেলেছেন ৬৬৪ ম্যাচ (১৮৩ সিরিজ)।
সাকিবের চেয়ে বেশিবার সিরিজসেরা হবার গৌরব অর্জন করেছেন মাত্র ৪ জন। শচীন টেন্ডুলকার (২০), জ্যাক ক্যালিস (১৫) ভিরাট কোহলি/ সনাথ জয়সুরিয়া (১৩)।
সাকিবের সমান ১১ বার সিরিজ সেরা হয়েছেন শন পোলক, ক্রিস গেইল, শিবনারায়ন চন্দরপল, রিকি পন্টিং ও মুত্তিয়াহ মুরালিধরন। তবে এদের প্রত্যেকেই ৪২৩ বা তাঁর বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ১১ বার সিরিজ সেরা হওয়া ৬ জনের মধ্যে কেবল সাকিব ও গেইলই সব ফরম্যাটেই সিরিজ সেরা হয়েছেন।
আজকের আগে ১০ বার সিরিজ সেরা হওয়া সাকিব ছিলেন ইমরান খান, হাশিম আমলা, সৌরভ গাঙ্গুলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ওয়াসিম আকরাম, তিলকারত্নে দিলশান ও কুমার সাঙ্গাকারাদের কাতারে। আজ ছাড়িয়ে গেছেন এদের সবাইকে।
