জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে কেচ ধরতে গিয়ে বাঁহাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে আঘাত পায় সাকিব। এরপর বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলো সাকিব। এরপর নিদাহাস ট্রফি থেকে মাঠে নামে সাকিব। সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সফরে সেই পুরনো ব্যাথা আবার অনুভব করেন সাকিব।

ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে ব্যথানাশক ইনজেকশন দিয়ে মাঠে নেমেছিলো। হাতের এই ব্যথায় বোলিং করতে কোন সমস্যা হয়নি। তবে ব্যাটিংয়ে সমস্যা হচ্ছে। ব্যাটিংয়ে দিতে পারছেন না পুরো এফোর্ট।  আর এই সমস্যা গোড়া থেকে উপরে ফেলার জন্য প্রয়জন অস্ত্রোপচার। আর অস্ত্রোপচার করালে সাকিবকে মাঠের বাইরে যেতে হবে দেড় থেকে দুই মাসের জন্য।

আজ বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সাকিবের বাঁ-হাতের লিটল ফিঙ্গারের জয়েন্ট ডিস-লোকেশন ছিল। সে মূলত ব্যাটিংয়ে সমস্যা অনুভব করছে। সে ব্যাটিংয়ে শতভাগ এফোর্ট দিতে পারছে না। বেশ কয়েকবার আমাদের জানিয়েছে। এই জন্য ওকে একজন হ্যান্ড সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতে। ডাক্তার ডেভিড হয় এর তত্ত্বাবধানে ওকে একটা ইনজেকশন দেয়া হয়। এরপর প্রদাহ কিছুটা কমে আসে। ফলে গত কয়েক মাস সে মোটামুটি পেইন ফ্রি থেকেই খেলতে পেরেছে। যদিও কিছু সমস্যা থেকেই গেছে।’

তিনি আরও বলেন ‘হ্যান্ড সার্জনের কথা মতো শর্ট টার্ম ম্যানেজমেন্টের জন্য ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। কিন্তু লং টার্মে এটা খুব একটা কাজ করবে না। দল ফ্লোরিডা যাওয়ার পর সেখানকার ডাক্তার একটি ইনজেকশন দিয়েছেন। সেখানকার ডাক্তারও বলেছে এমন ম্যানেজমেন্ট খুবই অল্প সময়ের জন্য কাজে লাগবে। এই জন্য টিম দেশে ফেরার পর সাকিব, ম্যানেজমেন্ট ও আমরা সবাই মিলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ অপারেশন হলে প্রায় দেড়-দুই মাস রিহ্যাবের দরকার পড়বে।’ জানান দেবাশীষ।

ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সফর শেষ করে আগামী বৃহস্পতিবার দেশে ফিরবেন সাকিব৷ তিনি আসার পর আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে কবে তার অস্ত্রোপচার করা হবে। কারণ সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ তাই হয়তো এশিয়াকাপের পরেই করা হবে অস্ত্রোপচার৷ কারণ যেহেতু এশিয়াকাপের পরে টাইগারদের সিরিজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর সেই সিরিজে সাকিব না থাকলেও দলে তেমন প্রভাব পড়বেনা।