চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ ২০১৮। এই এশিয়া কাপের দলে রয়েছে সাকিব আল হাসান। তবে খেলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চিয়তা। এশিয়া কাপে খেলবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখন নিতে পারেনি সাকিব। তবে হজে যাওয়ার আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে বলেছিলেন, এশিয়া কাপের পরই তিনি বাঁ-হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে অস্ত্রোপচার করাবেন।

অন্যন দিকে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা নাজমুল হাসান শান্ত পড়ে ইঞ্জুরিতে। গতকাল (বুধবার) অনুশীলনে সময় আঙুলের ইনজুরিতে পরেন তিনি। তার ডান-হাতের তর্জনির উপরের অংশ নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে যায়। পরে চিকিৎসকরা উপরের অংশ ঠিক জায়গায় এনে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন। চিড় না ধরায় তার দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী চিকিৎসকরা।

তবে বিসিবির একটি সূত্র থেকে যানা গেছে নাজমুলের এশিয়া কাপে না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। তার পরিবর্তে দলে আসতে পারে পারেন মুমিনুল হক।

এই মুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন সাকিব। সেখানেই আগামীকাল একজন চিকিৎসককে তার আঙুলের অবস্থা দেখানোর কথা ছিল। আঙুলে রয়েছে এখনও অনেক ব্যথা। এত ব্যথা নিয়ে এশিয়া কাপে খেলতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে সন্দিহান সাকিব। আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে চান এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। এরপরই তিনি এশিয়া কাপে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

সাকিবের ইনজুরি নিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী বলেন, ‘সাকিব এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে আসলে সে কী করবে। এশিয়া কাপের আগে অস্ত্রোপচার করাবে নাকি পরে করাবে। আমাদের আর সিদ্ধান্ত দেয়ার কিছু নেই, সাকিবকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সাকিব যেটাই করুক না কেন নিশ্চয়ই বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেই করছে।’  এদিকে সাকিব কাল হোয়াটসআপে জানিয়েছেন, তিনি মাত্র ২০-৩০ ভাগ সুস্থ। তাই এশিয়া কাপে সাকিবের খেলা অনেকটাই অনিশ্চিত, এটা বলা যায়। বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন ৬ সেপ্টেম্বর দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সাকিব। তবে আজ যে তিনি বাংলাদেশে আসছেন না সেটা নিশ্চিত।

টিম ম্যানেজমেন্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি সংযুক্ত আরব আমিরাতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সাকিব। তবে বিসিবির একজন প্রভাবশালী পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, ‘এশিয়া কাপে সাকিবের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। এর মধ্যে যদি তার উন্নতি না হয় তাহলে খেলার কোনো সম্ভাবনাই দেখি না।’