উইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে শেষ উইকেটটি নেওয়ার পর অপেক্ষা ছিল এক উইকেটের। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই উইন্ডিজ ওপেনার পাওয়েলকে ০ রানে বিদায় করে প্রথম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন বিশ্বসেরা টেস্ট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেই সাথে বোথাম-ফ্লিনটফদের ছাড়িয়ে কম ম্যাচ খেলে ২০০ উইকেট এবং ৩০০০ রান করার রেকর্ড গড়েছেন সাকিব।

এই রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেলেন ক্রিকেট ইতিহাসের সবাইকে। ৩ হাজার রানের ক্লাবের সদস্য সাকিব হয়েছিলেন বেশ আগেই। ২০০ উইকেট তাকে জায়গা করে দিল অভিজাত ক্লাবে, যে ক্লাবের সদস্য সাকিবকে নিয়ে হলো ১৪ জন। তবে সবচেয়ে কম টেস্ট খেলে সেখানে পৌঁছালেন সাকিব।৫৪ টেস্টে সাকিব পূর্ণ হলো সাকিবের ৩ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবল। বোথামের লেগেছিল ৫৫ টেস্ট।সবসময় বিরতি থেকে ফেরাটা রাজস্যিকই হয়ে থাকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের।

তার এক যুগের ক্যারিয়ারে এমন প্রত্যাবর্তনের উদাহরণ পাওয়া যাবে বেশ কয়েকটি। যে তালিকায় আজ নতুন করে যোগ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান চট্টগ্রাম টেস্ট। বাঁ-হাতের ইনজুরিতে মাঠ থেকে ছিটকে পড়ার আগে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই টেস্ট খেলেছিলেন সাকিব। মাঝে খেলতে পারেননি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। আবার ফিরলেন সেই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষেই, তবে ঘরের মাঠে।আর ফেরাটা কি দারুণভাবেই না সাজিয়ে রাখলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে নিজের প্রথম বলেই নিয়েছেন উইকেট, প্রথম ওভারে আরও একটি। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহীম ক্যাচ না ছাড়লে এক ওভারেই তিন উইকেট হয়ে যেত সাকিবের। পরে ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ ছাড়েন মোস্তাফিজুর রহমান। না হলে দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে দুইশ উইকেট হয়ে যেত সাকিবের।

তখন না হওয়া দুইশ উইকেট, হয়নি পুরো ইনিংসেই। সাকিবের জোড়া উইকেটের পর ক্যারিবীয় ইনিংসে চললো অভিষিক্ত নাঈম হাসানের অফ স্পিন ভেলকি। সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি। একটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে দেয়ার পথে ইনিংসের একদম শেষ উইকেটটি নেন সাকিব। ১৯৬ উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করে তার উইকেট সংখ্যা ছিল ১৯৯।

ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম উইকেটটি নিয়ে আজ প্রথম বাংলাদেশি ও সবমিলিয়ে ৭২তম বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন সাকিব।সাকিবের চেয়ে কম ম্যাচ খেলে দুইশ উইকেট ছুঁয়েছেন টেস্ট ইতিহাসের ৪৫ জন বোলার। তবে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে তার চেয়ে দ্রুততম কেবল দুই জন। ৪৭ টেস্টে দুইশ ছুঁয়েছিলেন রঙ্গনা হেরাথ, ৫১ টেস্টে বিষেন সিং বেদি।