ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে সাকিবের প্রয়োজন আর মাত্র ২ উইকেট! ক্রিকেট ইতিহাসে জ্যাক ক্যালিসের পর বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার বলা হয় বাংলাদেশের সাকিব অাল হাসানকে। বাংলাদেশে কি অারেক বার জন্ম নিবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রান এবং ৫০০ উইকেট নেওয়ার মত কোন অলরাউন্ডার?

সেটা হয়ত ভবিষ্যৎই বলবে তবে বর্তমান সময়েই রয়েছে একজন। ৫০০ উইকেট না পেলেও তার দাড় প্রান্তে দাড়িয়ে সাকিব অাল হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেটে ১১ হাজার রান করেছেন তামিম ইকবাল।

রানের দিক থেকে সাকিবের উপরের রয়েছে একমাত্র তামিম ইকবাল। তবে তামিমের থেকে অনেক এগিয়ে সাকিব। তার কারন ১০ হাজার রানের পাশে রয়েছে ৪৯৮ উইকেট। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার এবং বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রান এবং ৫০০ উইকেটের রেকর্ডের সামনে দাড়িয়ে তিনি।

এখন পর্যন্ত ৫১ টেস্টের ৯৬ ইনিংসে ব্যাট করে সাকিব ৪০.৩৮ গড়ে ৩৫৯৪ রান করেছেন। রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি ও ২২টি হাফসেঞ্চুরি। সাদা পোশাকে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ২১৭। এটি আবার বাংলাদেশের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ। সমান টেস্টে ৮৬ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ১৮৮টি উইকেট। যেখানে বোলিং গড় ৩২.৩৭ ও ইকোনোমি ৩.০১। ১০ উইকেট পেয়েছেন দু’বার। আর ৫ উইকেট পেয়েছেন ১৭বার। এক ম্যাচে তার সেরা বোলিং ফিগার ১২৪ রানে ১০ উইকেট। আর এক ইনিংসে ৩৬ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট।

ওয়ানডেতে সাকিবের ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ। ১৮৫ ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন ১৭৪ বার। যেখানে ৩৪.৯৫ গড়ে করেছেন ৫২৪৩ রান। রয়েছে ৭টি সেঞ্চুরি ও ৩৭টি হাফসেঞ্চুরি। এক ম্যাচে তার সেরা ১৩৪ (অপরাজিত)। আর ১৮২ ইনিংসে বল করে ২৯.৪৬ গড় ও ৪.৪৪ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ২৩৫টি উইকেট। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন একবার। সেরা বোলিং ফিগার ৪৭ রানে ৫ উইকেট।

৬৩টি টি-টোয়েন্টি খেলে ১২০.৬৮ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১২৩৭ রান। রয়েছে ৬টি হাফসেঞ্চুরি। আর ৬২ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৭৫ উইকেট। ইকোনোমি ৬.৭৮। সেরা বোলিং ফিগার ১৫ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট।

সাকিবের অাগে এই রেকর্ড অাছে মাত্র ২ জন ক্রিকেটারের। এক দক্ষিণ অাফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস। অার দুই পাকিস্তানের সাইদ অাফ্রিদী। জ্যাক ক্যালিস ২৫ হাজার রান সহ নিয়েছেন ৫৭৭ উইকেট এবং অাফ্রিদী ১১ হাজার রান সহ নিয়েছেন ৫০০ উইকেট।