আঙুলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আঙুলের চিকিৎসা শেষে আজই দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলকে উৎসাহ দিতে শ্রীলঙ্কায় পাড়ি জমিয়েছিলেন সাকিব। সেখান থেকে দলের সঙ্গে সময় কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে উড়াল দেন তিনি।

আঙুলের চিকিৎসা সারলেও এখনি মাঠে নামতে পারছেন না সাকিব। কমপক্ষে বিশ্রামে থাকতে হবে আরও ৭-৮ দিন। আঙুলের কারণে নিদাহাস ট্রফিতেও খেলার সম্ভবনা একবারেই নেই।  সাকিবের দেশে ফেরার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।

“আমার জানা মতে আজই দেশে ফেরার কথা সাকিবের। অস্ট্রেলিয়ায় তার চিকিৎসা শেষ। অস্ট্রেলিয়ার ডাক্তাররা তার আঙুলের ক্ষত সারাতে একটি ইনজেকশন দিয়েছেন। তারা আশাবাদী আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবেন সাকিব। সে মাঠে ফিরতে পারবে।”

ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাইভ দিতে গিয়ে আঙুলে চোট পান সাকিব। তৎক্ষণাৎ  নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। প্রয়োজন হয় সেলাইয়ের। চোটের কারণে মাঠে নামতে পারেননি ঐ ম্যাচে। আঙুলের চোটের কারণে ছিটকে যান লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজেও।

টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফেরার কথা থাকলেও সাকিবকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। ফলে দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজের পর মিস হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজও। তাঁর অনুপস্থিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের মিশনের পর অনুশীলনে ফিরেছিলেন সাকিব।

ব্যাট ও বল হাতে না নামলেও জিমে সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। আশা ছিল শ্রীলঙ্কার ৭০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠেয় নিদাহাস ট্রফিতে ফিরবেন বাংলাদেশ দলের এই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তাঁকে অধিনায়ক করে ১৬ সদস্যর বাংলাদেশ দল ঘোষণা করলেও পরবর্তীতে জানানো হয় ঘরের মাঠের সিরিজের পর নিদাহাস ট্রফিতেও খেলার সম্ভবনা নেই তাঁর।

পরবর্তীতে তাঁকে বাদ দিয়ে দল ঘোষণা করে বিসিবি। চোটের কারণে খেলতে না পারলেও দুই দিনের শ্রীলঙ্কায় গিয়ে দলকে অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।