
২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমেও ৭৯ রানের হার। শ্রীলঙ্কার কাছে এমন পরাজয়ে আবারও আরেকটি ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জেতা থেকে বঞ্চিত হল বাংলাদেশ। ম্যাচে সাকিবের ইনজুরি আর ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে দিনটি মোটেও ভালো যায়নি বাংলাদেশের জন্য। তারপরও বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ইতিবাচক রয়েছেন সিরিজ সম্পর্কে।
উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল বলেই মনে করছেন মাশরাফি। তবে বোলারদের কৃতিত্বকে খাটো করে দেখেননি তিনি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, ‘আমার মনে হয় উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য একটু কঠিন ছিল। তবে আমরা ভালো বল করেছি। ২২১ রান করতে তারা বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছে। তবে সব মিলিয়ে আমি মনে করি আমরা ভালো বল করেছিলাম।’
ইনজুরির কারণে ম্যাচ চলাকালেই সাকিবকে হারিয়ে একটু পিছিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়েও দেখা গেছে তার অভাব। যদিও সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন মাহমুদউল্লাহ্ রিয়াদ। মাশরাফি বলেন, ‘সাকিবকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি, যে পুরো টুর্নামেন্টে তিন নম্বরে ব্যাট করেছে। ও ব্যাটিংয়েও নামতে পারেনি। তবে ২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে হেরে যাওয়ায় আমাদের অজুহাত দেখানো ঠিক হবে না। মাহমুদউল্লাহ্ ভালো করেছে, তবে বড় কোনো পার্টনারশিপ হলে ভালো হতো।’
মাশরাফি আরও বলেন, ‘শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম এই উইকেটে ২৪০-২৫০ রান হবে। তবে খেলতে নেমে বোঝা গেছে ২০০ বা ২২০ রানের মতোই হবে। আমরা আরও ভালো ব্যাট করতে পারতাম। তবে বোলাররা ভালো করেছে। এমন উইকেটে কীভাবে ভালো করতে হয় সেটি মাহমুদউল্লাহ্ দেখিয়েছে। অবশ্যই সে ভালো ব্যাটিং করেছে, বিশেষ করে এরকম কঠিন পরিস্থিতিতে, তাও শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছে। তবে সেটি দলের জন্য কাজে আসলো না।’
বাংলাদেশ ম্যাচ হারার পরও গ্যালারি থেকে শোনা যাচ্ছিল- ‘সাবাস বাংলাদেশ!’ সমর্থকদের এই ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিততে পারেনি স্বাগতিকরা। তবে সমর্থন অব্যাহত থাকবে, এমন প্রত্যাশা মাশরাফির, ‘সমর্থকরা সবসময়ই আমাদের পাশে আছেন, ফল যাই হোক না কেন তারা আমাদের সমর্থন করেই যাচ্ছেন। তবে এটি (পরাজয়) তাদের জন্য খুশির হল না। আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াব। আর আশা করি সমর্থকরা যেভাবে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে, সেটা করে যাবেন। টেস্ট সিরিজের জন্য দলের প্রতি শুভকামনা রইল।’
