পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতার অর্ধেকটা মাঠজুড়ে লম্বা এক রানআপ। কপাল বেয়ে নেমে আসত লম্বা চুল। প্রচণ্ড গতিতে ছুটে এসে আগুনের গোলা ছুড়তেন। বোলিং প্রান্তে শোয়েব আখতার থাকা মানেই ব্যাটসম্যানদের কাঁপাকাঁপি। সেই শোয়েব কিনা বলছেন, কোহলির বিপক্ষে বোলিং করতে হয়নি বলে তিনি ভাগ্যবান!

ব্রায়ান লারা, শচীন টেন্ডুলকার ও রিকি পন্টিংদের সময় কোনো বোলারের মুখে এমন কথা শুনলে তৃপ্তি পাবেন যে-কেউ। বিরাট কোহলি একটু হলেও আত্মশ্লাঘায় ভুগবেন। যদিও শুরুটা করে দিয়েছেন বিরাট কোহলি নিজেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে মাত্র একবার। সে ম্যাচেও তারা দুজন মুখোমুখি হতে পারেননি। শোয়েব আখতারের প্রথম স্পেলের পর নামা কোহলি দ্বিতীয় স্পেলের আগেই আউট হয়ে যায়।

ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়ও শোয়েব আখতার কতটা ভয়ংকর ছিলেন, সেটা বলেছিলেন কোহলি, ‘আমি কখনো শোয়েব আখতারের মুখোমুখি হইনি। কিন্তু ডাম্বুলায় একবার তাঁকে বোলিং করতে দেখেছি। আমি আউট হয়ে গিয়েছিলাম, তাই তাঁকে খেলতে হয়নি। তবে তাঁকে বল করতে দেখেছি এবং ক্যারিয়ারের শেষভাগেও তাঁকে ভয়ংকর মনে হচ্ছিল। তখন মনে হয়েছিল, সেরা সময়ে কোনো ব্যাটসম্যানই তাঁর মুখোমুখি হতে চাইত না।’

এমন প্রশংসার উত্তরে মজা না করে পাকিস্তানের সাবেক গতি-দানব তিনি বলেন, ‘আমার ভাগ্য ভালো, কোহলির ব্যাটিংয়ের সময় বল করতে হয়নি। ঠাট্টা না করে যদি বলি, সে অসাধারণ ব্যাটসম্যান। ওর বিপক্ষে বল করতে পারলে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো।’

২০১০ সালের এশিয়া কাপের সে ম্যাচে ২৭ বলে ১৮ করেছিলেন কোহলি। আখতার নিজেও ছিলেন উইকেটশূন্য।