দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে খেলার সময় বাঁ পায়ের পেশিতে ‘গ্রেড ওয়ান টিয়ার’ হয় তামিম ইকবালের। প্রথম টেস্টটা খেলেছিলেন খানিকটা চোট নিয়েই।

চোট নিয়ে খেলার সময় প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিং করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আবার সেখানেই আঘাত পান এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। টেস্ট শেষে পচেফস্ট্রুমে তামিমকে স্থানীয় এক ডাক্তার দেখানো হয় , ডাক্তারই বলেন এ রকম চোটের ক্ষেত্রে চার সপ্তাহের বিশ্রামের কথা। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় টেস্ট তো বটেই ওয়ানডে সিরিজও খেলতে পারবেন না তামিম।

কিছুটা আশার আলো অবশ্য আছে। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিজিওর কাছ থেকে তামিমের চোটের অবস্থা জেনে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, ১০ থেকে ১২ দিন ভালোমতো বিশ্রাম নিলে হয়তো ওয়ানডে সিরিজটা তামিম খেলতে পারবেন।

দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে ছাড়া নামতে হবে ২য় টেষ্টে। ঢাকা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি করে সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগিয়ে তোলা তামিম দলে থাকা মানেই ভালো একটা শুরুর প্রত্যাশা করা। কিন্তু ৬ অক্টোবর থেকে ব্লুমফন্টেইনে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তামিমকে ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশকে। টানা খেলার ক্লান্তিতে টেস্ট সিরিজে বিশ্রাম নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, চোটের কারণে থাকবেন না তামিম ইকবালও।

ফলে সেরা অলরাউন্ডার ও সেরা ব্যাটসম্যান ছাড়াই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে।

তামিম খেলতে না পারায় হয়তো একটা সুযোগ পাবেন ইমরুল কায়েস। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট, এই ৩ টেস্টের ৬ ইনিংসে বলার মতো কোনো রান নেই ইমরুলের। তাই সৌম্যের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনায় তাঁর বাদ পড়ার যে শঙ্কাটা তৈরি হয়েছিল, তামিমের চোট বেড়ে যাওয়ায় হয়তো একটা সুযোগ পেয়ে গেলেন তিনি।

১৫ অক্টোবর কিম্বার্লিতে প্রথম ওয়ানডে, তার আগে ১২ তারিখে আছে প্রস্তুতি ম্যাচ। টানা বিশ্রাম পেয়ে ওয়ানডে সিরিজের আগেই যেন তামিম সেরে ওঠেন, এটাই প্রার্থনা ক্রিকেটভক্তদের।