
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৯৭ রানে অল আউট হয়ে রংপুর রাইডার্স। এর পর এই সহজ টর্গেটে ব্যাট করতে গিয়ে ঘাম ঝড়াতে হয় তামিম দের । এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেন দুই অধিনায়ক।
মাশরাফি বললেন, ‘এমন উইকেট টি-টোয়েন্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়।’ আর তামিম বলেন, ‘এমন উইকেট জঘন্য’।
দেশের দুই তারকা ক্রিকেটারের বক্তব্য শুনে নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুরু হয় উইকেটের কাজ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ। সেই সঙ্গে মন্তব্য করার জন্য কারণ দেখাতে নোটিশ পাঠানো হয় তামিমকে।
তাই প্রশ্ন ছিল শুধু তামিমকেই কেন? মাশরাফিকে কেন নয়? বিসিবির উত্তর ছিল, ‘তামিমের ভাষাটাই পছন্দ হয়নি তাই’।
গতকাল সেই নোটিশের জবাব দিতে বিসিবির শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন দেশসেরা এ ওপেনার। সংবাদ মাধ্যমকে তামিম বলেন, ‘দেখেন, খারাপ লাগার কথা কিছু না। আমি বলেছি উইকেট যদি ভালো না থাকে বলতে পারবো না তা নয়। আমি অবশ্যই বলতে পারবো, কিন্তু আরো সুন্দরভাবে। এটাই তাদের কনসার্ন ছিলো আর এ ব্যাপারে পুরোপুরি তাদের সঙ্গে এক মত হয়েছি আমি।
তাদেরকেও জানিয়েছি আমার ব্যাখ্যা করার জন্য আরো সুন্দর ভাষা ছিল। আমি আশা করি সামনে আমার শব্দ চয়ন আরো ভালো হবে।’ তামিমকে কেন বিসিবির কাঠ গড়ায় দাঁড়াতে হলো তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার শেষ ছিল না।
পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে নোটিশ না দিয়ে কেন উইকেটে ভুক্তভোগী তামিমকে শুনানিতে ডাকা হলো- এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তবে বিসিবির প্রথম থেকেই উত্তর ছিল উইকেটের চেয়ে মাঠে ক্রিকেটারদের দায়িত্বহীন ব্যাটিংও বড় কারণ ছিল কম রানে অলআউট হওয়ার। কারণ যেদিন মাশরাফিরা ৯৭ রানে অল আউট হয়েছে সেদিন একই উইকেটে অপর ম্যাচে ঢাকা ডায়নাইটস করে ২শ’ ছাড়ানো স্কোর।
গতকাল শুনানিতে তামিমকে কি বলা হয় তা নিয়ে ছিল সবার আগ্রহ। কি কথা হলো বিসিবির সঙ্গে? এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আমাকে যে কারণে হিয়ারিংয়ে ডাকা হলো সবাই জানেন যে উইকেট অ্যান্ড আউটফিল্ড। উনারা উনাদের কনসার্নটা আমাকে জানিয়েছেন।
