তাসকিনের বাবা আগেই বুঝতে পেরেছেন ,দেশ থেকে ফিরা মাত্রই তাসকিনকে গ্রেপ্তার করা হবে , কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই ধরণের বিষয়ে এখন আর কোন ছাড় দিচ্ছে না। তাসকিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার ও লোকলজ্জার ভয়ের কারনে তাসকিনের বাবা মেয়ের পরিবারের শর্ত মেনে নেন।

ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের এক সিরিজ কাটিয়ে গত সোমবার রাতে বাংলাদেশে ফিরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর ফিরে আসার ২৪ ঘন্টা না পেরোতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদ। তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী সৈয়দা রাবেয়া নাঈমা’র সঙ্গে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এরপর থেকেই সবার মনে প্রশ্ন একটি, হুট করেই কেন বিয়ের পিঁড়িতে বসল তাসকিন? বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় দু:স্বপ্নের এটা সফর শেষে করল। তাই তাসকিনের বিয়ে নিয়ে চলতে থাকে নানারকম মুখরোচক কথা।

তবে সত্যটা জানতে এই বিষয়ে অনুসন্ধান করে বাংলা ইনসাইডার। আর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিয়ের আগেই তাসকিনের সঙ্গে অবাধ মেলামেশায় কারণে অন্তঃসত্বা হয়ে যায় তাঁর পেমিকা নাঈমা। আর এ জন্যই চাপে পড়ে বিয়ে করতে হয় তাসকিনকে। আরও জানা যায়, তাসকিনের সঙ্গে সৈয়দ রাবেয়া নাঈমা’র আনেক দিনের প্রেম ছিল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য একজন আরেকজনকে দীর্ঘদিন ধরে চিনতেন। সে থেকেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

কিন্তু তাসকিন দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ খেলতে চলে যাবার পর নাঈমা বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃস্বত্বা। তার পরিবারের কাছে বিষয়টি জানাজানি হলে, তারা চাপ প্রয়োগ করেন তাসকিনের পরিবারকে। এ বিষয়ে সালিশও হয়। মেয়ের পরিবার থেকে দুইজনের বিয়ের বিষয়ে চাপ দেওয়া হয়। অন্যথায় আইনি পথে যাওয়ার হুমকি দেয় নাঈমার পরিবার। আর তখন কি করবে বুঝতে না পেরে ঘাবড়ে যায় তাসকিনের পরিবার। শেষ পর্যন্ত দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে ঠিক হয়। তারা ঠিক করেন যে, তাসকিন দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। তাই দেশে ফিরেই দেরি না করে গত মঙ্গলবার রাতেই গাঁটছড়া বেধেছেন তাসকিন-নাঈমা।