
সৈয়দা রাবেয়া নাঈমা ক্রিকেট খেলা তেমন বুঝেন না। যে তাসকিনের গ্যামারলুক দেখে তরুণী ও কিশোরীরা মরিয়া হয়ে পিছনে ঘোরে, সেই তাসকিনকে একটা সময় পাত্তাই দিতেন না তার বিবাহিত বউ। কিন্তু যখন থেকে তাদের ভিতর সম্পর্ক হয়েছে তারপর থেকে নিজের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছেন তাসকিনকে।
তাই তাকে মারধর করার সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিস্মিত হয়েছে নাঈমা নিজেই। তিনি বলেন, ‘ কী লিখেছে তা পড়িনি, দেখিওনি। ওর (তাসকিন) মুখে এই সব কথা শুনে নিজের হাত পা দেখলাম, এবং বললাম ও আমাকে কখন মারলো! কেন মানুষ এইগুলো ছড়াচ্ছে আমি জানিনা। সত্যি হলে মেনে নিতাম বা আমি নিজেই বলতাম।’
অপর দিকে স্বামীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে কতটা সুখে আছেন তা জানতে চাইলে নাঈমা বলেন, ‘বিয়ে হয়েছে সাড়ে চার মাস। এর মধ্যে আমি একবার শুধু বাবার বাসাতে গিয়েছি। সত্যি কথা বললে হয়তো আমার বাবা-মা কষ্ট পাবেন। কিন্তু এটাই সত্যি যে আমি আমার বাবার বাড়ির চেয়েও এখানে সুখে আছি। এত ভালোবাসা আমি আমার বাবার বাড়িতে পেয়েছি কিনা জানি না।’
তাসকিনের স্ত্রী আরও বলেন, ‘চাওয়ার আগেই আব্বা-আম্মা (তাসকিনের বাবা, মা) সব হাজির করে দেন। তাই দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করবো এসব মিথ্যা সংবাদে কান দিবেন না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন সে যেন ভালো ক্রিকেট খেলে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনে।’
দু’জনের সম্পর্কটা কত মধুর তা নিয়ে নাঈমা বলেন, ‘ও আমাকে কী মারবে, আমিই তো মাঝে মাঝে ওকে দুষ্টমি করে মারি। সত্যি কথা বলতে তাসকিন মানুষ হিসেবে অনেক অনেক ভালো।’
