
সব সময় ইঞ্জুরির সাথে লড়াই করতে হয়েছে তাকে। তার পরও থামিয়ে রাখতে পরেনি তাকে। বারবারি হিংস্র হয়ে ফিরে এসেছে। নতুন উদ্যমে ফিরেছেন মাঠে। চোটজর্জর হাঁটু তাই মাঠে নামতে হয় ক্যাপ পড়ে।
এত বাধাবিপত্তি পার হয়েও শতভাগ উজাড় করে দিতে কুণ্ঠা বোধ করেন না। বুক উজ্জার করে লড়েন। তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের দিন বদলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ইনজুরির কারণে হাঁটুতে সাতবার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। এর পর মাশরাফিকে টেস্টের সাদা পশাকে দেখাযায়নি। সবশেষ টেস্ট খেলেছেন সেই ২০০৯ সালে। প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও প্রিয় ফরমেটে এরপর আর খেলা হয়নি তার।
কিন্তু আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) ৩৪ বছর বয়সী মাশরাফি সম্পর্কে রোমাঞ্চকর এক তথ্য দিলেন তার চিকিৎসক, অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত শল্যবিদ ডেভিড ইয়াং। তিনি বললেন আবার টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারবেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।
‘প্রতিটি দলেরই একজন নেতা প্রয়োজন। যিনি শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নন, সবসময়ই একজন নেতার ভূমিকা পালন করবেন। সে তার দলের প্রয়োজনে অবশ্যই টেস্ট খেলবে। বিষয়টি এমন না যে তাকে সেরা খেলোয়াড় হতে হবে কিংবা সুপারস্টার হতে হবে। আমার মনে হয় মাশরাফি তেমনই এক নেতা। সে টেস্ট খেলার মতো অবস্থায় আছে।’
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি বিসিবি’র চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টদের সঙ্গে কর্মশালা শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ডেভিড একথা বলার পরপরই মাশরাফি মুখে মৃদু হাসি নিয়ে ‘না’ বলে উঠলেন। কিন্তু ডেভিডকে কে আটকায়?
একের পর এক মাশরাফির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে গেলেন ডেভিড। যেন কেউ তার অনেক দিনের বন্ধ মুখটি খুলে দিয়েছে, ‘মাশরাফি একজন পেশাদার প্লেয়ার যে কিনা তার দেশের প্রয়োজনে নিবেদিত প্রাণ। এটা আমার জন্য আনন্দের যে ওর ক্যারিয়ারে অল্প সময়ের জন্য হলেও আমি ছিলাম।
ওর যে বিষয়টা আমার ভালো লাগে সেটা হলো মানুষ হিসেবে সে অসাধারণ এবং তার হৃদয়টা অনেক বড়। সে একজন দাতাও যে তার আশপাশের মানুষ, দল এমনকি দেশ নিয়েও ভাবে। ওকে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের গর্ব করা উচিত। সে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক বড় এক দূত।’
